মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
নুপা আলম : জেলার নারী শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষক সংকটের কবলে পড়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটিতে সৃষ্ট শিক্ষকের পদের সংখ্যা ২৮ টি হলেও ওখানে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ১৮ জন। যেখানে ১০ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। একই সঙ্গে কলেজটিতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু থাকলেও এখনো সৃষ্টি হয়নি ওই বিভাগের শিক্ষকের পদ। ফলে প্রতিষ্ঠানটি আড়াই হাজারের বেশি ছাত্রীর পাঠদান নিয়ে শংকিত অধ্যক্ষ। তিনি এতে ভাল ফলাফল থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু করা হয়। প্রতি বছর নতুন করে ৩৫০ জন ছাত্রী ভর্তি হচ্ছে। গত ৮ বছরে কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে ওই বিভাগের শিক্ষকের পদ সৃষ্ট হয়নি। ফলে শিক্ষক বিহীন ছাত্রীরা ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ পার করছে।
কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো সোলাইমান জানান, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অতিথি শিক্ষক দিয়ে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ফলে ওই বিভাগের ছাত্রীরা ভাল ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষাক্রমও ব্যহত হচ্ছে দারুণভাবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়ে শিক্ষকের পদ সৃষ্ট করা জরুরী। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের এক তথ্য বিবরণীতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ২ হাজার ৫৮৫ জন ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। যার মধ্যে স্নাতক-সম্মান কোর্সের বাংলা ও অর্থনীতি বিষয়ে ১৭২ জন, স্নাতক-পাস বিএ ও বিএসসিতে ৭৩৬ জন, উচ্চ মাধ্যমিকের একদাশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১ হাজার ৬৭৭ জন ছাত্রী রয়েছে। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষকের সৃষ্ট পদ রয়েছে ২৮ টি। যার মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে শূণ্য রয়েছে ১০ টি।
কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো সোলাইমান জানান, ইংরেজি, অর্থনীতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, রসায়ন, গণিত, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে ৮ জন শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। গণিত ও উদ্ভিদ বিভাগের ২ জন শিক্ষক থাকলেও তাঁরা মাতৃত্বকালিন ছুটিতে রয়েছে। ফলে শূণ্য থাকা বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রসায়ন, গণিত, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply